ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুমারশীল মোড়স্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে জেলার ইতিহাসে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি ওজনের একটি ছেলে শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। গত বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হলি ল্যাব হাসপাতালের ১০৩ নম্বর কক্ষে শিশুটির জন্ম হয়। বর্তমানে মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ আছেন বলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিশ্চিত করেন। জন্ম নেওয়া ওই শিশুর নাম রাখা হয়েছে মুয়াজ।
হলি ল্যাব হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু কাউসার শুক্রবার (২ এপ্রিল) জানান, ‘দুই দিন আগে জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল গ্রাম থেকে তাসলিমা আক্তার নামে এক গৃহবধূ ও প্রসূতি মা তার প্রতিষ্ঠান হলি ল্যাব হাসপাতালে ১০৩ নম্বর কক্ষে ভর্তি হন। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ওই মা ৫ কেজি ৭শ গ্রাম ওজনের একটি ছেলে শিশুর জন্মদেন। অস্বাভাবিক ওজনের শিশুর জন্মের খবর পেয়ে হাসপাতালের নার্স, চিকিৎসক সহ উৎসুক জনতা ভিড় করেন।
এ বিষয়ে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুটির মা তাসলিমা বেগম বলেন, আমি আজকের দিনটির জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করেছি। আমি ও আমার ছেলে শিশুটি সুস্থ আছেন।সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুটির পিতা ও অরুয়াই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: আবুল বাশার জানান, এর আগে তার তিন সন্তান রয়েছে এটি তার চতুর্থ সন্তান। তিনি জানান, আমার আগের শিশুগুলো নরমাল ডেলিভারি হয় এবং ওই শিশুগুলোর স্বাস্থ্যও ভাল ছিল।
আবুল বাশার বলেন, নিরাপদে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ায় আমি খুবই খুশি। আমার পরিবার ‘ধন্য’ হয়েছে। ডাক্তার ফৌজিয়া ম্যাডামের সহযোগিতায় সিজারের পর মা ও শিশু ভাল আছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ও হলি ল্যাব হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার ফৌজিয়া আক্তার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটিকে ভূমিষ্ঠ করান।
শিশুটির অধিক ওজন সম্পর্কে চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বেশি ওজনের শিশুদের বলা হয় ম্যাক্সোসোনিয়া। সাধারণত শিশুর মা-বাবা ডায়াবেটিক আক্রান্ত হলে অথবা শিশুর মা-বাবার বেশি ওজন হলে ম্যাক্সোসোনিয়া (বেশি ওজনের শিশু) শিশুর জন্মহতে পারে। তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো এ ধরনের কোনো লক্ষণ শিশুর মা বাবার নেই।তিনি জানান এর আগে ২০০৭ সালে রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে ৬ কেজি ওজনের বাচ্চা জন্ম নিয়েছিল। জানা মতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌনে ৬ কেজি ওজনের শিশুটি দেশের দ্বিতীয়।